ইসলামপন্থীরাই জুলাই বিপ্লবের অকুতোভয় যোদ্ধা বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নায়ক পিনাকী ভট্রাচার্য্য।
এছাড়া বিএনপি নামধারী “সদা আত্মবিক্রয়ে উন্মুখ” স্বার্থপর, ক্ষমতালোভী, অপদার্থগুলো বিএনপিকে আত্মহননের পথে পরিচালিত করতেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ইসলামপন্থীরা ভোটে দাড়ালে ভোট পাইতো না। ক্যান পাইতো না? পাইতো না, কারণ ইসলামপন্থীরা প্রাক্টিক্যাল রাজনীতি করে। তাদের ভোট পুরা বিএনপির বাক্সে যাইতো। তারা বিএনপি ইসলামপন্থী এইভাবে ভোট ভাগাভাগি করে ভারত বা ইন্ডিয়ার স্বার্থকে জিততে দেয় নাই। বিএনপিও বাংলাদেশের ইসলাম পছন্দ জনতার আকাঙ্ক্ষাকে মুল্য দিছে। এইটা ছিলো উইন উইন পজিশন। বিএনপির ভোট বাক্সে ইসলামপন্থীদের শর্তহীন সমর্থনকে বিএনপি একান্ত নিজের শক্তি বলে মনে করছে। এইটা মারাত্মক রাজনৈতিক মিস ক্যাল্কুলেশন।
ইসলামপন্থীরা ঐতিহ্যগত ভাবে নারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে থাকলেও খালেদা জিয়াকে তাদের নেত্রী মানতে বাধে নাই। তারা সাময়িকভাবে তাদের সেই রাজনৈতিক পজিশন থেকে সরে আসছে।
প্রফেসর ইউনুসের সুদের ব্যাংককে কঠোর সমালোচনা যেই সব আলেম করছেন, তারাই প্রফেসর ইউনুসকে জাতির নেতা মাইন্যা নিছেন।
বাংলাদেশের ইসলামপন্থী ভোট সবসময়েই এন্টি ইন্ডিয়ান। সে ইন্ডিয়ান লাইনকে বুঝে স্যেকুলারিজম আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়া এন্টি ইসলাম প্রশ্নে রাজনৈতিক দলের অবস্থান দিয়া।
বিএনপির আল্ট্রা স্যেকুলার পজিশন তার ভোট ব্যাংকের ইসলামপন্থী অংশকে পুরাই নষ্ট করে দিবে। বিএনপির আল্ট্রা স্যেকুলার ইসলামপন্থীরা ইন্ডিয়ান লাইন বলে আইডেন্টিফাই করবে। তখন কোনো ওয়াকার বা মোদীস্তানের কেউ তাদের বাঁচাতে পারবে না কারণ এই ইসলাম পছন্দ জনগনই বাংলাদেশের আপামর সঙ্খ্যাগরিষ্ঠ জনতা। এরাই জুলাই বিপ্লবের অকুতোভয় যোদ্ধা। এরাই মাঠে ঘাটে বন্দরে অমিত বিক্রমে প্রতিরোধ গড়ে তুলছিলো। এদের সন্তানেরাই সৈনিক আর শ্রমিক, হকার, রিক্সাওয়ালা দরিদ্র মানুষ।
এরা সতর্ক থাকবে। এরাই বিপ্লবের বিরুদ্ধে যেকোন ভারতীয় পরিকল্পনাকে রুখে দেবে ইনশাআল্লাহ। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।