Dhaka ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
ছাত্রদের নেতৃত্বে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ: আইডিয়াল টাইমস বিডিআর হত্যাকান্ডকে বিডিআর বিদ্রোহ বলে চালানো হয়েছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ সফলতার জন্য করণীয় কি ? আইডিয়াল টাইমস আদীব হুজুরের কলমে কোরআনের অনুবাদ: আইডিয়াল টাইমস হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার চালুর নির্দেশ দিলেন প্রফেসর ড. ইউনুস ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোগান-এর বক্তব্য আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতিতে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত: প্রেস সচিব জেনারেল ওয়াকারের পদত্যাগ চেয়েছিলাম: তুহিন খান ইসলামপন্থীরাই জুলাই বিপ্লবের অকুতোভয় যোদ্ধা : পিনাকি ভট্রাচার্য্য ৬ মাসেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি: চরমোনাই পীর

প্রত্যন্ত অঞ্চলে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে দিনমজুর জয়নালের পাঠাগার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৪৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৩ Time View

জয়নাল আবেদীন বয়স ৩৪ বছর। ছোটবেলায় বাবা মারা যাওয়ার পর অভাবের কারণে পঞ্চম শ্রেণির বেশি পড়া হয়নি তার। চার ভাই-বোনের মধ্যে বড় ভাই হওয়ার কারণে কিশোর বয়সেই সংসারের বোঝা পড়ে তার কাঁধে। তাই পূর্বপুরুষদের মতোই দিনমজুরি শুরু করেন। তবে সে অন্য ১০ জন সাধারণ দিনমজুরের থেকে ব্যতিক্রম একজন মানুষ।

শৈশবের পড়াশোনা বেশি করতে না পারলেও বই পড়ার প্রতি তার আলাদা নেশা রয়েছে। সেই নেশা থেকেই অভাবের সংসারের মাঝেই ‘সাতভিটা গ্রন্থনীড়’ নামে একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেছেন। যেখানে চার হাজারের অধিক বই রয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে জয়নালের এই পাঠাগার।

সম্প্রতি জয়নাল আবেদীন তার পাঠাগারের সেই যাত্রার গল্প এবং বর্তমান কেমন চলছে তা নিয়ে জাগোনিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ সোহেল রানা-

জয়নাল আবেদীন: বছরের যে সময়ে গ্রামে কাজ থাকে না, তখন কাজের জন্য গাজীপুরে যান জয়নাল আবেদীন। ওখানে গিয়ে প্রথমবারই ইটভাটায় কাজ পেয়ে যান তিনি। এরপর থেকেই গাজীপুর গেলেই ইটভাটাতেই কাজ করেন। ভাটার কাজ মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় সকালে। তাই দুপুরে কোনো কাজ না থাকায় প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে বিকেলে আশপাশের বাজারে আড্ডা দিতেন জয়নাল।

২০১১ সালের কোনো একদিন ভাটার কাজ শেষে ঘোরাঘুরি করছিলেন। এ সময় ফুটপাতে বইয়ের দোকান দেখে তার ভালো লাগে। পরে বইগুলোর দাম কম হওয়ার কারণে দুটি বই কিনেন জয়নাল। পরে কাজ শেষে অবসরে বই পড়েন। এতে ধীরে ধীরে বই পড়ার আগ্রহ বাড়তে থাকে। এরপর কাজের জন্য গাজীপুর গেলেই বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন, টঙ্গী কলেজ গেট থেকে পুরোনো বই কেনেন। ইটভাটায় কাজে যে টাকা পান, সেখান থেকে কিছু টাকা জমিয়ে এসব বই কিনতেন। এভাবে বাড়তে থাকে বইয়ের সংগ্রহ। হুট করে গ্রামে পাঠাগার করার চিন্তা মাথায় আসে। গ্রামের সবাইকে বই পড়াবেন।

Tag :
About Author Information

Popular Post

ছাত্রদের নেতৃত্বে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ: আইডিয়াল টাইমস

প্রত্যন্ত অঞ্চলে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে দিনমজুর জয়নালের পাঠাগার

Update Time : ০৫:৪৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জয়নাল আবেদীন বয়স ৩৪ বছর। ছোটবেলায় বাবা মারা যাওয়ার পর অভাবের কারণে পঞ্চম শ্রেণির বেশি পড়া হয়নি তার। চার ভাই-বোনের মধ্যে বড় ভাই হওয়ার কারণে কিশোর বয়সেই সংসারের বোঝা পড়ে তার কাঁধে। তাই পূর্বপুরুষদের মতোই দিনমজুরি শুরু করেন। তবে সে অন্য ১০ জন সাধারণ দিনমজুরের থেকে ব্যতিক্রম একজন মানুষ।

শৈশবের পড়াশোনা বেশি করতে না পারলেও বই পড়ার প্রতি তার আলাদা নেশা রয়েছে। সেই নেশা থেকেই অভাবের সংসারের মাঝেই ‘সাতভিটা গ্রন্থনীড়’ নামে একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেছেন। যেখানে চার হাজারের অধিক বই রয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে জয়নালের এই পাঠাগার।

সম্প্রতি জয়নাল আবেদীন তার পাঠাগারের সেই যাত্রার গল্প এবং বর্তমান কেমন চলছে তা নিয়ে জাগোনিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ সোহেল রানা-

জয়নাল আবেদীন: বছরের যে সময়ে গ্রামে কাজ থাকে না, তখন কাজের জন্য গাজীপুরে যান জয়নাল আবেদীন। ওখানে গিয়ে প্রথমবারই ইটভাটায় কাজ পেয়ে যান তিনি। এরপর থেকেই গাজীপুর গেলেই ইটভাটাতেই কাজ করেন। ভাটার কাজ মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় সকালে। তাই দুপুরে কোনো কাজ না থাকায় প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে বিকেলে আশপাশের বাজারে আড্ডা দিতেন জয়নাল।

২০১১ সালের কোনো একদিন ভাটার কাজ শেষে ঘোরাঘুরি করছিলেন। এ সময় ফুটপাতে বইয়ের দোকান দেখে তার ভালো লাগে। পরে বইগুলোর দাম কম হওয়ার কারণে দুটি বই কিনেন জয়নাল। পরে কাজ শেষে অবসরে বই পড়েন। এতে ধীরে ধীরে বই পড়ার আগ্রহ বাড়তে থাকে। এরপর কাজের জন্য গাজীপুর গেলেই বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন, টঙ্গী কলেজ গেট থেকে পুরোনো বই কেনেন। ইটভাটায় কাজে যে টাকা পান, সেখান থেকে কিছু টাকা জমিয়ে এসব বই কিনতেন। এভাবে বাড়তে থাকে বইয়ের সংগ্রহ। হুট করে গ্রামে পাঠাগার করার চিন্তা মাথায় আসে। গ্রামের সবাইকে বই পড়াবেন।