মায়ের ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বস্ব হারান খাইরুল
মায়ের ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বস্ব হারানো খাইরুল হোসাইন নতুন করে জীবন সাজাতে শুরু করেছেন।
এক সময় ভ্রাম্যমান ভ্যানে ফুচকা, চটপটি, ঝালমুড়ি বিক্রি করতেন তিনি। এর মাধ্যমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিল তার পাঁচ সদস্যের সংসার। হঠাৎই তার জীবনাকাশে দেখা দেয় দুর্যোগের ঘনঘটা। মায়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে।
মাতৃভক্ত খাইরুল হোসাইন উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম ভ্যান ও ব্যবসার যাবতীয় মালামাল বিক্রি করে দেন মায়ের চিকিৎসায়। ঋণগ্রস্তও হয়ে পড়েন তিনি।
এ সময় হোটেলে বয় থেকে শুরু করে দিনমজুরির নানা ধরনের কাজ করতে হয়েছে তাকে। কখনো কাজের অভাবে বসে থাকতে হয়েছে বেকার।
চারপাশ থেকে আশার সব আলো যখন একটু একটু করে নিভে যাচ্ছিল, তখন আমাদের দক্ষতাভিত্তিক উদ্যোক্তা তৈরি প্রকল্প আশার আলো হয়ে আসে তার জীবনে। তিনি তার হারানো ব্যবসার জন্য আবেদন করেন।
আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের পর একটি ভ্রাম্যমান ফাস্টফুডের দোকানের যাবতীয় উপকরণ কিনে দেয়া হয় তাকে। উপকরণ ব্যয় ৯০ হাজার টাকা।
সব হারিয়ে নতুনভাবে শুরু করা খাইরুল হোসাইনের জীবন ও জীবিকা এখন যথেষ্টই সচ্ছল। বর্তমানে তার প্রতিদিনের উপার্জন ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা।
খাইরুল হোসাইনের বাড়ি জয়পুরহাট সদরের হাতিগাড়া গ্রামে। তার এই ঘুরে দাঁড়ানোর সঙ্গী হতে পেরে আমরা আনন্দিত।
শায়খ আহমদুল্লাহ’র ওয়াল থেকে..