Dhaka ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বইয়ের যত্ন কীভাবে নিবেন? আইডিয়াল টাইমস

  • ইবনে সাবিল
  • Update Time : ০৩:২৬:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৩৮ Time View
বইপ্রেমিক মানুষ মাত্র বই কিনেন, সাজিয়ে তুলেন নিজের আঙিনা। নতুন বইয়ের আগমনে পুরাতন বইয়ের সাথে দুরত্ব বাড়ে, অযত্ন অবহেলায় নষ্ট হয়ে যায়। আপনার মূল্যবান বইগুলো নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচাতে এই টিপস দেওয়া হলো।
বইয়ের যত্ন কীভাবে নিবেন?
১. বইয়ের যত্নের জন্য প্রথমেই শেলফ বানিয়ে নিন। এতে রোদ, বৃষ্টি ও ধুলোবালি থেকে শখের বই পুরোপুরি নিরাপদ থাকবে।
২. মাঝে মাঝে বইগুলো শেলফ থেকে নামিয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। এতে বই পোকা, ধুলো ও দুর্গন্ধ হওয়া থেকে সুরক্ষিত থাকবে।
৩. ছোটবেলা থেকেই শিশুদেরকে বই পড়ার অভ্যাসের সাথে সাথে বইয়ের যত্ন নেয়াটাও শেখান।
৪. শেলফের প্রত্যেকটি তাকে একটি বা দুটি করে ন্যাপথলিন দিন।
৫. এলোমেলো বা গাদাগাদি করে বই না রেখে বিষয় অনুযায়ী বইয়ে লেবেল লাগান। তারপর লেভেল অনুযায়ি সাজিয়ে রাখুন।
৬. অনেকে বই পড়তে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে, অযত্নে রেখে নষ্ট করে। ফেরত দেয় না। তাই কাকে বই দিচ্ছেন সেটা ভেবে দিবেন।
৭. খাবার আগে যেমন হাত ধুয়ে নিতে হয়, তেমনই বই পড়ার আগেও হাত পরিষ্কার করে নিবেন। বই ও মন দুইটাই ভালো থাকবে।
৮. খাওয়ার সময় অনেকেই বই পড়তে পছন্দ করেন। যেমন আমি। তবে খাওয়ার সময় বই পড়লে খুব সাবধানে পড়বেন। কারণ এক ফোঁটা তরকারির ঝোল সারাজীবনের আফসোস।
৯. কিছুদিন পর পর পেইন্ট ব্রাশ দিয়ে ধুলো পরিষ্কার করুন। এতে সময় লাগবে কম, পরিষ্কার করতেও ইজি হবে।
১০. বইয়ের পাতা দ্রুত নষ্ট করতে না চাইলে বইয়ের পাতা কখনও ভাঁজ করে রাখবেন না। বুর্কমার্ক, নন-স্টিকি নোট, কলম বা পেন্সিল ইউজ করতে পারেন।
১১. বইয়ের পাতা ছিঁড়ে গেলে ভুলেও আইকা ব্যবহার করবেন না। স্বচ্ছ টেপ বা বইয়ের জন্য আলাদা আঠা পাওয়া যায় সেটা ইউজ করুন।
১২. র্যাক থেকে বই বের করার সময় স্পাইনের মাঝখানটা ধরে বের করুন। এতে বই ছিঁড়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
১৩. ভুলেও জানালার কাছে শেলফ রাখবেন না। কারণ শুধু ঝড়-বৃষ্টিতেই বই নষ্ট হয় না। গরম বা ঠান্ডা বাতাসেও বই নষ্ট হয়।
১৪. বইগুলোকে ভিটামিন ডি খাওয়াতে কিছুদিন পরপর রোদে দিন। যদিও বই, কিন্তু ওদেরও তো জীবন আছে।
১৫. যদি ম্যাসিভভাবে বইয়ে পোকা আক্রমণ করে। তবে ডাইক্লোরো ডাইফিনাইল জাতীয় ক্যামিকেল ইউজ করতে পারেন। তবে অবশ্যই খুব কেয়ারফুলি করবেন। এরপর ভালোভাবে শেলফ ও হাত পরিষ্কার করে ফেলবেন। বাচ্চাদেরকে বইয়ের কাছে যেতে দিবেন না।
১৬. ড্যাম্প হতে পারে এমন কোনো দেয়ালে ভুলেও শেলফ তৈরি করবেন না।
১৭. টাকা গোনার মতো করে বইয়ের পাতা ওল্টানোর সময় কখনো আঙ্গুলে থুতু লাগাবেন না। এটা যেমন আপনার জন্য স্বাস্থ্যকর না। তেমনই বইয়ের জন্যও ভালো না।
১৮. উঁচু তাক থেকে বই নামানোর সময় ছুঁড়ে নিচে ফেলবেন না। এতে বই দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে।
১৯. বারান্দায় বুক শেলফ রাখলে সবসময় ট্রান্সপারেন্ট পলেথিন দিয়ে ঢেকে রাখবেন।
২০. বই কেনার সময় পেপার কোয়ালিটি দেখে কিনবেন।
এই নিয়মগুলো মেনে চললে আশাকরি আপনার বই আপনার সাথে বন্ধুর মতো থাকবে সবসময়য়। নষ্ট হবে না। আপনিও কষ্ট পাবেন না। তাই শখের বইয়ের যত্ন নিন, বই আপনার মন ভালো রাখবে।
সুত্র: ইখলাছ পাবলিকেশন
About Author Information

Popular Post

বইয়ের যত্ন কীভাবে নিবেন? আইডিয়াল টাইমস

Update Time : ০৩:২৬:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বইপ্রেমিক মানুষ মাত্র বই কিনেন, সাজিয়ে তুলেন নিজের আঙিনা। নতুন বইয়ের আগমনে পুরাতন বইয়ের সাথে দুরত্ব বাড়ে, অযত্ন অবহেলায় নষ্ট হয়ে যায়। আপনার মূল্যবান বইগুলো নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচাতে এই টিপস দেওয়া হলো।
বইয়ের যত্ন কীভাবে নিবেন?
১. বইয়ের যত্নের জন্য প্রথমেই শেলফ বানিয়ে নিন। এতে রোদ, বৃষ্টি ও ধুলোবালি থেকে শখের বই পুরোপুরি নিরাপদ থাকবে।
২. মাঝে মাঝে বইগুলো শেলফ থেকে নামিয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। এতে বই পোকা, ধুলো ও দুর্গন্ধ হওয়া থেকে সুরক্ষিত থাকবে।
৩. ছোটবেলা থেকেই শিশুদেরকে বই পড়ার অভ্যাসের সাথে সাথে বইয়ের যত্ন নেয়াটাও শেখান।
৪. শেলফের প্রত্যেকটি তাকে একটি বা দুটি করে ন্যাপথলিন দিন।
৫. এলোমেলো বা গাদাগাদি করে বই না রেখে বিষয় অনুযায়ী বইয়ে লেবেল লাগান। তারপর লেভেল অনুযায়ি সাজিয়ে রাখুন।
৬. অনেকে বই পড়তে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে, অযত্নে রেখে নষ্ট করে। ফেরত দেয় না। তাই কাকে বই দিচ্ছেন সেটা ভেবে দিবেন।
৭. খাবার আগে যেমন হাত ধুয়ে নিতে হয়, তেমনই বই পড়ার আগেও হাত পরিষ্কার করে নিবেন। বই ও মন দুইটাই ভালো থাকবে।
৮. খাওয়ার সময় অনেকেই বই পড়তে পছন্দ করেন। যেমন আমি। তবে খাওয়ার সময় বই পড়লে খুব সাবধানে পড়বেন। কারণ এক ফোঁটা তরকারির ঝোল সারাজীবনের আফসোস।
৯. কিছুদিন পর পর পেইন্ট ব্রাশ দিয়ে ধুলো পরিষ্কার করুন। এতে সময় লাগবে কম, পরিষ্কার করতেও ইজি হবে।
১০. বইয়ের পাতা দ্রুত নষ্ট করতে না চাইলে বইয়ের পাতা কখনও ভাঁজ করে রাখবেন না। বুর্কমার্ক, নন-স্টিকি নোট, কলম বা পেন্সিল ইউজ করতে পারেন।
১১. বইয়ের পাতা ছিঁড়ে গেলে ভুলেও আইকা ব্যবহার করবেন না। স্বচ্ছ টেপ বা বইয়ের জন্য আলাদা আঠা পাওয়া যায় সেটা ইউজ করুন।
১২. র্যাক থেকে বই বের করার সময় স্পাইনের মাঝখানটা ধরে বের করুন। এতে বই ছিঁড়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
১৩. ভুলেও জানালার কাছে শেলফ রাখবেন না। কারণ শুধু ঝড়-বৃষ্টিতেই বই নষ্ট হয় না। গরম বা ঠান্ডা বাতাসেও বই নষ্ট হয়।
১৪. বইগুলোকে ভিটামিন ডি খাওয়াতে কিছুদিন পরপর রোদে দিন। যদিও বই, কিন্তু ওদেরও তো জীবন আছে।
১৫. যদি ম্যাসিভভাবে বইয়ে পোকা আক্রমণ করে। তবে ডাইক্লোরো ডাইফিনাইল জাতীয় ক্যামিকেল ইউজ করতে পারেন। তবে অবশ্যই খুব কেয়ারফুলি করবেন। এরপর ভালোভাবে শেলফ ও হাত পরিষ্কার করে ফেলবেন। বাচ্চাদেরকে বইয়ের কাছে যেতে দিবেন না।
১৬. ড্যাম্প হতে পারে এমন কোনো দেয়ালে ভুলেও শেলফ তৈরি করবেন না।
১৭. টাকা গোনার মতো করে বইয়ের পাতা ওল্টানোর সময় কখনো আঙ্গুলে থুতু লাগাবেন না। এটা যেমন আপনার জন্য স্বাস্থ্যকর না। তেমনই বইয়ের জন্যও ভালো না।
১৮. উঁচু তাক থেকে বই নামানোর সময় ছুঁড়ে নিচে ফেলবেন না। এতে বই দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে।
১৯. বারান্দায় বুক শেলফ রাখলে সবসময় ট্রান্সপারেন্ট পলেথিন দিয়ে ঢেকে রাখবেন।
২০. বই কেনার সময় পেপার কোয়ালিটি দেখে কিনবেন।
এই নিয়মগুলো মেনে চললে আশাকরি আপনার বই আপনার সাথে বন্ধুর মতো থাকবে সবসময়য়। নষ্ট হবে না। আপনিও কষ্ট পাবেন না। তাই শখের বইয়ের যত্ন নিন, বই আপনার মন ভালো রাখবে।
সুত্র: ইখলাছ পাবলিকেশন