Dhaka ১০:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
নির্বাচন ঘিরে ঐক্যের বার্তা: ইসলামী দলগুলোর জোটবদ্ধ আগ্রহ চরমোনাইয়ের মহাসমাবেশে বিএনপি কে ক্ষমতায় যাওয়ার গ্যারান্টি কে দিল? শায়েখে চরমোনাই নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনীতিবিদ, লেখক ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট সাইমুম সাদী বলেছেন, “দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য সামনে রেখে যদি ঐক্য গড়ে ওঠে, তবে সেটি হবে টেকসই ও ফলপ্রসূ। শুধু নির্বাচন নয়, বরং জাতীয় পর্যায়ে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সামনে রেখে একটি কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী ঐক্যের প্রয়োজন রয়েছে।” তিনি মনে করেন, যেহেতু নির্বাচন এখন ঘনিয়ে এসেছে, তাই নির্বাচনকেন্দ্রিক ঐক্যকেও যথাযথ পরিকল্পনা ও কৌশলের মাধ্যমে অনেক দূর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, “ঐক্যের পথে প্রধান বাধা হচ্ছে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের অভাব। অনেক সময় দেখা যায়, ঐক্যের সময় মুখে ভালো কথা বলা হলেও সুযোগ পেলে কেউ কাউকে বাদ দিয়ে এগিয়ে যেতে চায় কিংবা বিক্রি করে দেয়। এই সন্দেহ ও সংশয় দূর করতে না পারলে শুধু কথার ঐক্য দীর্ঘস্থায়ী হয় না।” সাইমুম সাদী পরামর্শ দিয়ে বলেন, “ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলেও একে অপরের প্রতি আচরণে ভদ্রতা ও সৌজন্য থাকা উচিত। তা দলের প্রধান থেকে শুরু করে কর্মী পর্যন্ত সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কর্মীদের ঐক্যের মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “এই বিষয়ে একটি গবেষণা সেল গঠন করা যেতে পারে। যেখানে নিয়মিতভাবে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের পরামর্শ ও প্রস্তাবনা দেওয়া হবে। পরে বিভিন্ন দলের দায়িত্বশীলরা একত্রে বসে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবেন।” শেষে তিনি বলেন, “ঐক্যবদ্ধতা কোনো সাময়িক ব্যাপার নয়, এটি ধারাবাহিকভাবে কাজের বিষয়। নতুন নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। চালাকি করে তাৎক্ষণিক লাভ হলেও দীর্ঘমেয়াদে জনআস্থা হারাতে হয়। তাই সাময়িক ঐক্যকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার প্রয়াস হোক আন্তরিকতা ও দূরদর্শিতার সঙ্গে। আল্লাহ আমাদের কামিয়াব করুন।” সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানালেন প্রধান উপদেষ্টা নোয়াখালীতে হিযবুত তওহীদ এর কার্যক্রম বন্ধ ও “দেশের পত্র” পত্রিকা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় “ঝাকুনিপাড়া বয়েজ ক্লাব”-এর আত্মপ্রকাশ কুরবানির যাবতীয় মাসায়েল এক রাতের বিজয়: মেহমেদ আল ফাতিহ বনাম আমাদের তরুণ প্রজন্ম” শিশুর সামনে আপনার প্রতিটি কথা—একটি শিক্ষা পড়াশুনাই হলো জীবনের অধিকাংশ ঝড়ের ঔষধ

যেসব উপকার পাবেন এক চামচ চিয়া সিড খেলে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৫৩:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • ২৭ Time View

স্মুদির উপর এক চা চামচ চিয়া বীজ ছিটিয়ে দিন। চাইলে দুধে ভিজিয়ে রেখে ওটসের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন। মাত্র এক চা চামচ চিয়া বীজ আপনার ডায়েট যোগ করতে পারে বাড়তি মাত্রা।

এক টেবিল চামচ চিয়া বীজের ওজন প্রায় ১২ গ্রাম এবং এতে প্রায় ৫৮ থেকে ৬০ ক্যালোরি থাকে। এই ৬০ ক্যালোরির মধ্যে আরও পাচ্ছেন ৪ গ্রাম স্বাস্থ্যকর চর্বি (বেশিরভাগই ওমেগা-৩), ৫ গ্রাম ফাইবার, ২ গ্রাম উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস।

এক টেবিল চামচ চিয়া বীজ আপনার দৈনিক ফাইবারের চাহিদার প্রায় ২০ শতাংশ সরবরাহ করে। এই দ্রবণীয় ফাইবার পানির সাথে মিশে প্রসারিত হয়ে অন্ত্রে জেলের মতো পদার্থ তৈরি করে। এটি হজমকে ধীর করতে সাহায্য করে, দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে।

ওমেগা থ্রির দারুণ উৎস চিয়া বীজ। বিশেষ করে আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড মেলে এতে ভালো পরিমাণে। এক টেবিল চামচ বীজ আপনাকে প্রায় ২.৫ গ্রাম আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড প্রদান করে। ওমেগা-৩ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। পাশাপাশি এটি প্রদাহ কমানোর জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ওটস, বাদামের দুধ এবং বাদামের মাখনের সাথে চিয়া বীজ মিশিয়ে খান। প্রোটিন সমৃদ্ধ দারুণ ব্রেকফাস্ট হবে এটি।

চিয়া বীজ আপনাকে ভেতর থেকে হাইড্রেট করে। ভেজা চিয়া বীজ পানিতে তাদের ওজনের ১০-১২ গুণ পর্যন্ত শোষণ করতে পারে। ভিজে তারা একটি জেল তৈরি করে যা ধীরে ধীরে শরীরে আর্দ্রতা ছেড়ে দেয়। এই কারণেই ক্রীড়াবিদরা ওয়ার্কআউটের আগে চিয়া পানীয়তে চুমুক দেন। এটি হাইড্রেশন এবং ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, বিশেষ করে যখন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।

মাত্র এক টেবিল চামচ চিয়া বীজ ৭৫-৮০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৬০-৬৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম এবং ৯৫-১০০ মিলিগ্রাম ফসফরাস সরবরাহ করে। এই খনিজগুলো হাড়ের ঘনত্ব, স্নায়ুর কার্যকারিতা এবং পেশী মেরামতে বড় ভূমিকা পালন করে।চিয়া বীজ ম্যাঙ্গানিজের একটি ভালো উৎস, যা শরীরকে অন্যান্য পুষ্টি আরও কার্যকরভাবে প্রক্রিয়া করতে সাহায্য করে।

বেশ কয়েকটি ছোট গবেষণায় দেখা গেছে যে, চিয়া বীজ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। বিশেষ করে যখন উচ্চ কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারের সাথে খাওয়া হয়। তাদের জেল-গঠনকারী ফাইবার রক্তে চিনি প্রবেশের হার ধীর করে দেয়।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Tag :
About Author Information

নির্বাচন ঘিরে ঐক্যের বার্তা: ইসলামী দলগুলোর জোটবদ্ধ আগ্রহ চরমোনাইয়ের মহাসমাবেশে

যেসব উপকার পাবেন এক চামচ চিয়া সিড খেলে

Update Time : ০৫:৫৩:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

স্মুদির উপর এক চা চামচ চিয়া বীজ ছিটিয়ে দিন। চাইলে দুধে ভিজিয়ে রেখে ওটসের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন। মাত্র এক চা চামচ চিয়া বীজ আপনার ডায়েট যোগ করতে পারে বাড়তি মাত্রা।

এক টেবিল চামচ চিয়া বীজের ওজন প্রায় ১২ গ্রাম এবং এতে প্রায় ৫৮ থেকে ৬০ ক্যালোরি থাকে। এই ৬০ ক্যালোরির মধ্যে আরও পাচ্ছেন ৪ গ্রাম স্বাস্থ্যকর চর্বি (বেশিরভাগই ওমেগা-৩), ৫ গ্রাম ফাইবার, ২ গ্রাম উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস।

এক টেবিল চামচ চিয়া বীজ আপনার দৈনিক ফাইবারের চাহিদার প্রায় ২০ শতাংশ সরবরাহ করে। এই দ্রবণীয় ফাইবার পানির সাথে মিশে প্রসারিত হয়ে অন্ত্রে জেলের মতো পদার্থ তৈরি করে। এটি হজমকে ধীর করতে সাহায্য করে, দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে।

ওমেগা থ্রির দারুণ উৎস চিয়া বীজ। বিশেষ করে আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড মেলে এতে ভালো পরিমাণে। এক টেবিল চামচ বীজ আপনাকে প্রায় ২.৫ গ্রাম আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড প্রদান করে। ওমেগা-৩ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। পাশাপাশি এটি প্রদাহ কমানোর জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ওটস, বাদামের দুধ এবং বাদামের মাখনের সাথে চিয়া বীজ মিশিয়ে খান। প্রোটিন সমৃদ্ধ দারুণ ব্রেকফাস্ট হবে এটি।

চিয়া বীজ আপনাকে ভেতর থেকে হাইড্রেট করে। ভেজা চিয়া বীজ পানিতে তাদের ওজনের ১০-১২ গুণ পর্যন্ত শোষণ করতে পারে। ভিজে তারা একটি জেল তৈরি করে যা ধীরে ধীরে শরীরে আর্দ্রতা ছেড়ে দেয়। এই কারণেই ক্রীড়াবিদরা ওয়ার্কআউটের আগে চিয়া পানীয়তে চুমুক দেন। এটি হাইড্রেশন এবং ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, বিশেষ করে যখন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।

মাত্র এক টেবিল চামচ চিয়া বীজ ৭৫-৮০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৬০-৬৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম এবং ৯৫-১০০ মিলিগ্রাম ফসফরাস সরবরাহ করে। এই খনিজগুলো হাড়ের ঘনত্ব, স্নায়ুর কার্যকারিতা এবং পেশী মেরামতে বড় ভূমিকা পালন করে।চিয়া বীজ ম্যাঙ্গানিজের একটি ভালো উৎস, যা শরীরকে অন্যান্য পুষ্টি আরও কার্যকরভাবে প্রক্রিয়া করতে সাহায্য করে।

বেশ কয়েকটি ছোট গবেষণায় দেখা গেছে যে, চিয়া বীজ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। বিশেষ করে যখন উচ্চ কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারের সাথে খাওয়া হয়। তাদের জেল-গঠনকারী ফাইবার রক্তে চিনি প্রবেশের হার ধীর করে দেয়।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া