বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপের ফলে ভারি বৃষ্টিপাত ও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে নোয়াখালীর উপকূলের নিম্নাঞ্চল।
জেলার উপকূলীয় তিন উপজেলা হাতিয়া, কোম্পানীগঞ্জ ও সুবর্ণচরে নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের তোড়ে এসব উপজেলার কয়েকটি বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত য়েছে।
এসব এলাকায় বাড়িঘরে জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় জনদুর্ভোগ দেখা নিয়েছে।
তৃতীয় দিনের মত হাতিয়ার সঙ্গে সারাদেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াসংলগ্ন মেঘনা নদী উত্তাল রয়েছে। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে তীরে। এতে নলচিরা ঘাট, তমরদ্দি ঘাট, চেয়ারম্যান ঘাট ও চতলার ঘাটে অনেক দোকানপাট নদীতে ভেসে গেছে। আশপাশের ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। ভেসে গেছে অসংখ্য মাছের খামার ও পুকুর। ডুবে গেছে শাকসবজি ও অন্যান্য ফসল।
হাতিয়ার স্থানীয় সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন কিরণ বলেন, “বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানিতে হাতিয়ার চরইশ্বর, নলচিরা, সুখচর, চর ঘাসিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
“বেড়িবাঁধ না থাকায় নিঝুম দ্বীপের বেশিরভাগ এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে।”
হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে হাতিয়ার বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ ইউনিয়নের দুর্গত মানুষের জন্য তার পক্ষ থেকে শুকনো খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নিম্নচাপের প্রভাবে শুক্রবার সকালেও ভারি বৃষ্টি হচ্ছে বলে নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দা আমিরুল মোমিন বাবলু জানিয়েছেন।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, “ঝড়ো বাতাস ও সাগর উত্তার থাকায় তৃতীয় দিনের মত হাতিয়ার সঙ্গে সারাদেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।”
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমদ বলেন, “উপকূলীয় এলাকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় তৎপর হয়েছে প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছে।”