Dhaka ১০:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
নির্বাচন ঘিরে ঐক্যের বার্তা: ইসলামী দলগুলোর জোটবদ্ধ আগ্রহ চরমোনাইয়ের মহাসমাবেশে বিএনপি কে ক্ষমতায় যাওয়ার গ্যারান্টি কে দিল? শায়েখে চরমোনাই নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনীতিবিদ, লেখক ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট সাইমুম সাদী বলেছেন, “দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য সামনে রেখে যদি ঐক্য গড়ে ওঠে, তবে সেটি হবে টেকসই ও ফলপ্রসূ। শুধু নির্বাচন নয়, বরং জাতীয় পর্যায়ে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সামনে রেখে একটি কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী ঐক্যের প্রয়োজন রয়েছে।” তিনি মনে করেন, যেহেতু নির্বাচন এখন ঘনিয়ে এসেছে, তাই নির্বাচনকেন্দ্রিক ঐক্যকেও যথাযথ পরিকল্পনা ও কৌশলের মাধ্যমে অনেক দূর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, “ঐক্যের পথে প্রধান বাধা হচ্ছে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের অভাব। অনেক সময় দেখা যায়, ঐক্যের সময় মুখে ভালো কথা বলা হলেও সুযোগ পেলে কেউ কাউকে বাদ দিয়ে এগিয়ে যেতে চায় কিংবা বিক্রি করে দেয়। এই সন্দেহ ও সংশয় দূর করতে না পারলে শুধু কথার ঐক্য দীর্ঘস্থায়ী হয় না।” সাইমুম সাদী পরামর্শ দিয়ে বলেন, “ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলেও একে অপরের প্রতি আচরণে ভদ্রতা ও সৌজন্য থাকা উচিত। তা দলের প্রধান থেকে শুরু করে কর্মী পর্যন্ত সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কর্মীদের ঐক্যের মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “এই বিষয়ে একটি গবেষণা সেল গঠন করা যেতে পারে। যেখানে নিয়মিতভাবে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের পরামর্শ ও প্রস্তাবনা দেওয়া হবে। পরে বিভিন্ন দলের দায়িত্বশীলরা একত্রে বসে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবেন।” শেষে তিনি বলেন, “ঐক্যবদ্ধতা কোনো সাময়িক ব্যাপার নয়, এটি ধারাবাহিকভাবে কাজের বিষয়। নতুন নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। চালাকি করে তাৎক্ষণিক লাভ হলেও দীর্ঘমেয়াদে জনআস্থা হারাতে হয়। তাই সাময়িক ঐক্যকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার প্রয়াস হোক আন্তরিকতা ও দূরদর্শিতার সঙ্গে। আল্লাহ আমাদের কামিয়াব করুন।” সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানালেন প্রধান উপদেষ্টা নোয়াখালীতে হিযবুত তওহীদ এর কার্যক্রম বন্ধ ও “দেশের পত্র” পত্রিকা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় “ঝাকুনিপাড়া বয়েজ ক্লাব”-এর আত্মপ্রকাশ কুরবানির যাবতীয় মাসায়েল এক রাতের বিজয়: মেহমেদ আল ফাতিহ বনাম আমাদের তরুণ প্রজন্ম” শিশুর সামনে আপনার প্রতিটি কথা—একটি শিক্ষা পড়াশুনাই হলো জীবনের অধিকাংশ ঝড়ের ঔষধ

প্রত্যন্ত অঞ্চলে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে দিনমজুর জয়নালের পাঠাগার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৪৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৩৭ Time View

জয়নাল আবেদীন বয়স ৩৪ বছর। ছোটবেলায় বাবা মারা যাওয়ার পর অভাবের কারণে পঞ্চম শ্রেণির বেশি পড়া হয়নি তার। চার ভাই-বোনের মধ্যে বড় ভাই হওয়ার কারণে কিশোর বয়সেই সংসারের বোঝা পড়ে তার কাঁধে। তাই পূর্বপুরুষদের মতোই দিনমজুরি শুরু করেন। তবে সে অন্য ১০ জন সাধারণ দিনমজুরের থেকে ব্যতিক্রম একজন মানুষ।

শৈশবের পড়াশোনা বেশি করতে না পারলেও বই পড়ার প্রতি তার আলাদা নেশা রয়েছে। সেই নেশা থেকেই অভাবের সংসারের মাঝেই ‘সাতভিটা গ্রন্থনীড়’ নামে একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেছেন। যেখানে চার হাজারের অধিক বই রয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে জয়নালের এই পাঠাগার।

সম্প্রতি জয়নাল আবেদীন তার পাঠাগারের সেই যাত্রার গল্প এবং বর্তমান কেমন চলছে তা নিয়ে জাগোনিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ সোহেল রানা-

জয়নাল আবেদীন: বছরের যে সময়ে গ্রামে কাজ থাকে না, তখন কাজের জন্য গাজীপুরে যান জয়নাল আবেদীন। ওখানে গিয়ে প্রথমবারই ইটভাটায় কাজ পেয়ে যান তিনি। এরপর থেকেই গাজীপুর গেলেই ইটভাটাতেই কাজ করেন। ভাটার কাজ মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় সকালে। তাই দুপুরে কোনো কাজ না থাকায় প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে বিকেলে আশপাশের বাজারে আড্ডা দিতেন জয়নাল।

২০১১ সালের কোনো একদিন ভাটার কাজ শেষে ঘোরাঘুরি করছিলেন। এ সময় ফুটপাতে বইয়ের দোকান দেখে তার ভালো লাগে। পরে বইগুলোর দাম কম হওয়ার কারণে দুটি বই কিনেন জয়নাল। পরে কাজ শেষে অবসরে বই পড়েন। এতে ধীরে ধীরে বই পড়ার আগ্রহ বাড়তে থাকে। এরপর কাজের জন্য গাজীপুর গেলেই বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন, টঙ্গী কলেজ গেট থেকে পুরোনো বই কেনেন। ইটভাটায় কাজে যে টাকা পান, সেখান থেকে কিছু টাকা জমিয়ে এসব বই কিনতেন। এভাবে বাড়তে থাকে বইয়ের সংগ্রহ। হুট করে গ্রামে পাঠাগার করার চিন্তা মাথায় আসে। গ্রামের সবাইকে বই পড়াবেন।

Tag :
About Author Information

নির্বাচন ঘিরে ঐক্যের বার্তা: ইসলামী দলগুলোর জোটবদ্ধ আগ্রহ চরমোনাইয়ের মহাসমাবেশে

প্রত্যন্ত অঞ্চলে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে দিনমজুর জয়নালের পাঠাগার

Update Time : ০৫:৪৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জয়নাল আবেদীন বয়স ৩৪ বছর। ছোটবেলায় বাবা মারা যাওয়ার পর অভাবের কারণে পঞ্চম শ্রেণির বেশি পড়া হয়নি তার। চার ভাই-বোনের মধ্যে বড় ভাই হওয়ার কারণে কিশোর বয়সেই সংসারের বোঝা পড়ে তার কাঁধে। তাই পূর্বপুরুষদের মতোই দিনমজুরি শুরু করেন। তবে সে অন্য ১০ জন সাধারণ দিনমজুরের থেকে ব্যতিক্রম একজন মানুষ।

শৈশবের পড়াশোনা বেশি করতে না পারলেও বই পড়ার প্রতি তার আলাদা নেশা রয়েছে। সেই নেশা থেকেই অভাবের সংসারের মাঝেই ‘সাতভিটা গ্রন্থনীড়’ নামে একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেছেন। যেখানে চার হাজারের অধিক বই রয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে জয়নালের এই পাঠাগার।

সম্প্রতি জয়নাল আবেদীন তার পাঠাগারের সেই যাত্রার গল্প এবং বর্তমান কেমন চলছে তা নিয়ে জাগোনিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ সোহেল রানা-

জয়নাল আবেদীন: বছরের যে সময়ে গ্রামে কাজ থাকে না, তখন কাজের জন্য গাজীপুরে যান জয়নাল আবেদীন। ওখানে গিয়ে প্রথমবারই ইটভাটায় কাজ পেয়ে যান তিনি। এরপর থেকেই গাজীপুর গেলেই ইটভাটাতেই কাজ করেন। ভাটার কাজ মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় সকালে। তাই দুপুরে কোনো কাজ না থাকায় প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে বিকেলে আশপাশের বাজারে আড্ডা দিতেন জয়নাল।

২০১১ সালের কোনো একদিন ভাটার কাজ শেষে ঘোরাঘুরি করছিলেন। এ সময় ফুটপাতে বইয়ের দোকান দেখে তার ভালো লাগে। পরে বইগুলোর দাম কম হওয়ার কারণে দুটি বই কিনেন জয়নাল। পরে কাজ শেষে অবসরে বই পড়েন। এতে ধীরে ধীরে বই পড়ার আগ্রহ বাড়তে থাকে। এরপর কাজের জন্য গাজীপুর গেলেই বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন, টঙ্গী কলেজ গেট থেকে পুরোনো বই কেনেন। ইটভাটায় কাজে যে টাকা পান, সেখান থেকে কিছু টাকা জমিয়ে এসব বই কিনতেন। এভাবে বাড়তে থাকে বইয়ের সংগ্রহ। হুট করে গ্রামে পাঠাগার করার চিন্তা মাথায় আসে। গ্রামের সবাইকে বই পড়াবেন।