Dhaka ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
নির্বাচন ঘিরে ঐক্যের বার্তা: ইসলামী দলগুলোর জোটবদ্ধ আগ্রহ চরমোনাইয়ের মহাসমাবেশে বিএনপি কে ক্ষমতায় যাওয়ার গ্যারান্টি কে দিল? শায়েখে চরমোনাই নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনীতিবিদ, লেখক ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট সাইমুম সাদী বলেছেন, “দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য সামনে রেখে যদি ঐক্য গড়ে ওঠে, তবে সেটি হবে টেকসই ও ফলপ্রসূ। শুধু নির্বাচন নয়, বরং জাতীয় পর্যায়ে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সামনে রেখে একটি কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী ঐক্যের প্রয়োজন রয়েছে।” তিনি মনে করেন, যেহেতু নির্বাচন এখন ঘনিয়ে এসেছে, তাই নির্বাচনকেন্দ্রিক ঐক্যকেও যথাযথ পরিকল্পনা ও কৌশলের মাধ্যমে অনেক দূর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, “ঐক্যের পথে প্রধান বাধা হচ্ছে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের অভাব। অনেক সময় দেখা যায়, ঐক্যের সময় মুখে ভালো কথা বলা হলেও সুযোগ পেলে কেউ কাউকে বাদ দিয়ে এগিয়ে যেতে চায় কিংবা বিক্রি করে দেয়। এই সন্দেহ ও সংশয় দূর করতে না পারলে শুধু কথার ঐক্য দীর্ঘস্থায়ী হয় না।” সাইমুম সাদী পরামর্শ দিয়ে বলেন, “ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলেও একে অপরের প্রতি আচরণে ভদ্রতা ও সৌজন্য থাকা উচিত। তা দলের প্রধান থেকে শুরু করে কর্মী পর্যন্ত সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কর্মীদের ঐক্যের মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “এই বিষয়ে একটি গবেষণা সেল গঠন করা যেতে পারে। যেখানে নিয়মিতভাবে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের পরামর্শ ও প্রস্তাবনা দেওয়া হবে। পরে বিভিন্ন দলের দায়িত্বশীলরা একত্রে বসে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবেন।” শেষে তিনি বলেন, “ঐক্যবদ্ধতা কোনো সাময়িক ব্যাপার নয়, এটি ধারাবাহিকভাবে কাজের বিষয়। নতুন নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। চালাকি করে তাৎক্ষণিক লাভ হলেও দীর্ঘমেয়াদে জনআস্থা হারাতে হয়। তাই সাময়িক ঐক্যকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার প্রয়াস হোক আন্তরিকতা ও দূরদর্শিতার সঙ্গে। আল্লাহ আমাদের কামিয়াব করুন।” সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানালেন প্রধান উপদেষ্টা নোয়াখালীতে হিযবুত তওহীদ এর কার্যক্রম বন্ধ ও “দেশের পত্র” পত্রিকা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় “ঝাকুনিপাড়া বয়েজ ক্লাব”-এর আত্মপ্রকাশ কুরবানির যাবতীয় মাসায়েল এক রাতের বিজয়: মেহমেদ আল ফাতিহ বনাম আমাদের তরুণ প্রজন্ম” শিশুর সামনে আপনার প্রতিটি কথা—একটি শিক্ষা পড়াশুনাই হলো জীবনের অধিকাংশ ঝড়ের ঔষধ

বিএনপি কে ক্ষমতায় যাওয়ার গ্যারান্টি কে দিল? শায়েখে চরমোনাই

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:২৮:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • ৫ Time View

শায়েখে চরমোনাই

ঢাকা, ২৮ জুন ২০২৫:
“বিএনপিকে ক্ষমতায় যাওয়ার গ্যারান্টি কে দিয়েছে?” — এই প্রশ্ন রেখেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির ও শায়খে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ কোনো দুর্নীতিবাজ বা চাঁদাবাজকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।”

তিনি বলেন, “একটি সর্বদলীয় সংসদ গঠনের জন্য ‘পিআর’ পদ্ধতি সবচেয়ে কার্যকর ব্যবস্থা। বিএনপির উচিত এটি মেনে নেওয়া।”

শায়খে চরমোনাই আরও বলেন, “আমরা নিজেরা ক্ষমতায় যেতে চাই না, বরং কুরআন ও সুন্নাহকে ক্ষমতায় দেখতে চাই। যারা আজকের এই মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন, তারা যদি আন্তরিক হন এবং মোনাফেকি না করেন, তাহলে ভবিষ্যতে ইসলামি শক্তির বিজয় হবেই ইনশাআল্লাহ।”

তিনি বলেন, “ইসলাম যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে মানুষ তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে, দারিদ্র্য কমবে, জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হবে না। কেউ দাঁড়ি-টুপি পরে চললে হামলার শিকার হবে না।”

মুফতি ফয়জুল করীম আরও বলেন, “এখন দেশের একজন রিকশাচালকও সচেতন। কাজেই কেউ আর জনগণের সঙ্গে বেইমানি করে পার পাবে না।”

বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগ বিগত সময়ে ভারতের কাছে দায়বদ্ধ ছিল। কিন্তু এই দেশের মানুষ ভারতের গোলামী করার জন্য নয়, বরং স্বাধীনতার জন্য ১৯৭১ সালে রক্ত দিয়েছিল।”

মহাসমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

About Author Information

নির্বাচন ঘিরে ঐক্যের বার্তা: ইসলামী দলগুলোর জোটবদ্ধ আগ্রহ চরমোনাইয়ের মহাসমাবেশে

বিএনপি কে ক্ষমতায় যাওয়ার গ্যারান্টি কে দিল? শায়েখে চরমোনাই

Update Time : ০৫:২৮:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

ঢাকা, ২৮ জুন ২০২৫:
“বিএনপিকে ক্ষমতায় যাওয়ার গ্যারান্টি কে দিয়েছে?” — এই প্রশ্ন রেখেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির ও শায়খে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ কোনো দুর্নীতিবাজ বা চাঁদাবাজকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।”

তিনি বলেন, “একটি সর্বদলীয় সংসদ গঠনের জন্য ‘পিআর’ পদ্ধতি সবচেয়ে কার্যকর ব্যবস্থা। বিএনপির উচিত এটি মেনে নেওয়া।”

শায়খে চরমোনাই আরও বলেন, “আমরা নিজেরা ক্ষমতায় যেতে চাই না, বরং কুরআন ও সুন্নাহকে ক্ষমতায় দেখতে চাই। যারা আজকের এই মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন, তারা যদি আন্তরিক হন এবং মোনাফেকি না করেন, তাহলে ভবিষ্যতে ইসলামি শক্তির বিজয় হবেই ইনশাআল্লাহ।”

তিনি বলেন, “ইসলাম যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে মানুষ তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে, দারিদ্র্য কমবে, জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হবে না। কেউ দাঁড়ি-টুপি পরে চললে হামলার শিকার হবে না।”

মুফতি ফয়জুল করীম আরও বলেন, “এখন দেশের একজন রিকশাচালকও সচেতন। কাজেই কেউ আর জনগণের সঙ্গে বেইমানি করে পার পাবে না।”

বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগ বিগত সময়ে ভারতের কাছে দায়বদ্ধ ছিল। কিন্তু এই দেশের মানুষ ভারতের গোলামী করার জন্য নয়, বরং স্বাধীনতার জন্য ১৯৭১ সালে রক্ত দিয়েছিল।”

মহাসমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।