জুলাই বিপ্লবের বিপদ!!!
চূড়ান্ত বিজয় প্রতিষ্ঠিত করার দুটি ধাপ। ১. অর্জন। ২. যাপন।
অর্জন যত কঠিন হোক, তার চেয়ে কঠিন যাপন। যাপনের অন্যতম শর্ত-
ক. বিজয় যার অনুগ্রহ-করুণা, তার কৃতজ্ঞতা আদায় করা।
খ. বিজয় অর্জনে যে সীমালঙ্ঘন বা অন্যায্য হয়, তার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
অর্থাৎ বিজয়ী যেন নিজেকেই বিজয়ের প্রধান কর্তা মনে না করেন। যেন নমনীয় থেকে বিজয় রক্ষা করার উপযুক্ত থাকতে পারেন। প্রতিটি লড়াইয়ে কিছু না কিছু সীমালংঘন বা অন্যায্য হয়, স্বাভাবিক, সেজন্য বিজয়ের পরবর্তী মুহূর্তের প্রথম পদক্ষেপ সম্মিলিতভাবে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা এবং সকল সীমালংঘন থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
এর মাধ্যমে বিজয়ীদের মধ্যে আত্মম্ভরিতা, দম্ভ ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রবণতা দমিত থাকে। বিজয় রক্ষা করার জন্য যে সতর্কতা, শক্তি ও স্থিতিশীলতা দরকার, তা রক্ষিত হয়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, এতে বিজয়ী পক্ষগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া, সাম্য ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ঐক্য বজায় থাকে। কেননা ঐক্যের জন্য নমনীয়তা অন্যতম শর্ত।
বাংলাদেশ বিজয় অর্জনের পর সম্মিলিতভাবে যাপনের অংশটুকু উদযাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ ব্যাপারে কোন পক্ষই সচেতন বা আগ্রহী ছিল বলে মনে হয় না। ফলে পূর্ণাঙ্গ বিজয় এখনো অধরা।
অর্জন বিজয়ের অর্ধেক। যাপন তাকে পূর্ণতা দেয়। আমরা এখনো যাপনের অপূর্ণতা নিয়ে বিজয়ী পক্ষগুলোকে পরস্পর প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যস্ত। এ আমাদের চূড়ান্ত অকৃতকার্যতার দৃষ্টান্ত।
তবে সময় এখনো অতিক্রান্ত নয়। আমরা বিজয়কে স্থায়িত্ব দিতে যাপনে এখনো মনোযোগী হতে পারি।
এখনো মনোযোগী হতে পারি।
এখনো মনোযোগী হতে পারি।
কেননা- ইন্নাহু কানা তাউয়াবা, নিশ্চয়ই আল্লাহ বারবার ক্ষমা করেন।
যে পক্ষ এখনো যাপনে মনোযোগী হবে, চূড়ান্ত বিজয় তাদেরই করতলগত থাকবে ইনশাআল্লাহ।