Dhaka ০৯:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
নির্বাচন ঘিরে ঐক্যের বার্তা: ইসলামী দলগুলোর জোটবদ্ধ আগ্রহ চরমোনাইয়ের মহাসমাবেশে বিএনপি কে ক্ষমতায় যাওয়ার গ্যারান্টি কে দিল? শায়েখে চরমোনাই নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনীতিবিদ, লেখক ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট সাইমুম সাদী বলেছেন, “দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য সামনে রেখে যদি ঐক্য গড়ে ওঠে, তবে সেটি হবে টেকসই ও ফলপ্রসূ। শুধু নির্বাচন নয়, বরং জাতীয় পর্যায়ে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সামনে রেখে একটি কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী ঐক্যের প্রয়োজন রয়েছে।” তিনি মনে করেন, যেহেতু নির্বাচন এখন ঘনিয়ে এসেছে, তাই নির্বাচনকেন্দ্রিক ঐক্যকেও যথাযথ পরিকল্পনা ও কৌশলের মাধ্যমে অনেক দূর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, “ঐক্যের পথে প্রধান বাধা হচ্ছে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের অভাব। অনেক সময় দেখা যায়, ঐক্যের সময় মুখে ভালো কথা বলা হলেও সুযোগ পেলে কেউ কাউকে বাদ দিয়ে এগিয়ে যেতে চায় কিংবা বিক্রি করে দেয়। এই সন্দেহ ও সংশয় দূর করতে না পারলে শুধু কথার ঐক্য দীর্ঘস্থায়ী হয় না।” সাইমুম সাদী পরামর্শ দিয়ে বলেন, “ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলেও একে অপরের প্রতি আচরণে ভদ্রতা ও সৌজন্য থাকা উচিত। তা দলের প্রধান থেকে শুরু করে কর্মী পর্যন্ত সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কর্মীদের ঐক্যের মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “এই বিষয়ে একটি গবেষণা সেল গঠন করা যেতে পারে। যেখানে নিয়মিতভাবে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের পরামর্শ ও প্রস্তাবনা দেওয়া হবে। পরে বিভিন্ন দলের দায়িত্বশীলরা একত্রে বসে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবেন।” শেষে তিনি বলেন, “ঐক্যবদ্ধতা কোনো সাময়িক ব্যাপার নয়, এটি ধারাবাহিকভাবে কাজের বিষয়। নতুন নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। চালাকি করে তাৎক্ষণিক লাভ হলেও দীর্ঘমেয়াদে জনআস্থা হারাতে হয়। তাই সাময়িক ঐক্যকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার প্রয়াস হোক আন্তরিকতা ও দূরদর্শিতার সঙ্গে। আল্লাহ আমাদের কামিয়াব করুন।” সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানালেন প্রধান উপদেষ্টা নোয়াখালীতে হিযবুত তওহীদ এর কার্যক্রম বন্ধ ও “দেশের পত্র” পত্রিকা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় “ঝাকুনিপাড়া বয়েজ ক্লাব”-এর আত্মপ্রকাশ কুরবানির যাবতীয় মাসায়েল এক রাতের বিজয়: মেহমেদ আল ফাতিহ বনাম আমাদের তরুণ প্রজন্ম” শিশুর সামনে আপনার প্রতিটি কথা—একটি শিক্ষা পড়াশুনাই হলো জীবনের অধিকাংশ ঝড়ের ঔষধ

জুলাই বিপ্লবের বিপদ-মুহিম মাহফুয

জুলাই বিপ্লবের বিপদ!!!
চূড়ান্ত বিজয় প্রতিষ্ঠিত করার দুটি ধাপ। ১. অর্জন। ২. যাপন।
অর্জন যত কঠিন হোক, তার চেয়ে কঠিন যাপন। যাপনের অন্যতম শর্ত-
ক. বিজয় যার অনুগ্রহ-করুণা, তার কৃতজ্ঞতা আদায় করা।
খ. বিজয় অর্জনে যে সীমালঙ্ঘন বা অন্যায্য হয়, তার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
অর্থাৎ বিজয়ী যেন নিজেকেই বিজয়ের প্রধান কর্তা মনে না করেন। যেন নমনীয় থেকে বিজয় রক্ষা করার উপযুক্ত থাকতে পারেন। প্রতিটি লড়াইয়ে কিছু না কিছু সীমালংঘন বা অন্যায্য হয়, স্বাভাবিক, সেজন্য বিজয়ের পরবর্তী মুহূর্তের প্রথম পদক্ষেপ সম্মিলিতভাবে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা এবং সকল সীমালংঘন থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
এর মাধ্যমে বিজয়ীদের মধ্যে আত্মম্ভরিতা, দম্ভ ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রবণতা দমিত থাকে। বিজয় রক্ষা করার জন্য যে সতর্কতা, শক্তি ও স্থিতিশীলতা দরকার, তা রক্ষিত হয়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, এতে বিজয়ী পক্ষগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া, সাম্য ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ঐক্য বজায় থাকে। কেননা ঐক্যের জন্য নমনীয়তা অন্যতম শর্ত।
বাংলাদেশ বিজয় অর্জনের পর সম্মিলিতভাবে যাপনের অংশটুকু উদযাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ ব্যাপারে কোন পক্ষই সচেতন বা আগ্রহী ছিল বলে মনে হয় না। ফলে পূর্ণাঙ্গ বিজয় এখনো অধরা।
অর্জন বিজয়ের অর্ধেক। যাপন তাকে পূর্ণতা দেয়। আমরা এখনো যাপনের অপূর্ণতা নিয়ে বিজয়ী পক্ষগুলোকে পরস্পর প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যস্ত। এ আমাদের চূড়ান্ত অকৃতকার্যতার দৃষ্টান্ত।
তবে সময় এখনো অতিক্রান্ত নয়। আমরা বিজয়কে স্থায়িত্ব দিতে যাপনে এখনো মনোযোগী হতে পারি।
এখনো মনোযোগী হতে পারি।
এখনো মনোযোগী হতে পারি।
কেননা- ইন্নাহু কানা তাউয়াবা, নিশ্চয়ই আল্লাহ বারবার ক্ষমা করেন।
যে পক্ষ এখনো যাপনে মনোযোগী হবে, চূড়ান্ত বিজয় তাদেরই করতলগত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
About Author Information

নির্বাচন ঘিরে ঐক্যের বার্তা: ইসলামী দলগুলোর জোটবদ্ধ আগ্রহ চরমোনাইয়ের মহাসমাবেশে

জুলাই বিপ্লবের বিপদ-মুহিম মাহফুয

Update Time : ১২:৩৪:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
জুলাই বিপ্লবের বিপদ!!!
চূড়ান্ত বিজয় প্রতিষ্ঠিত করার দুটি ধাপ। ১. অর্জন। ২. যাপন।
অর্জন যত কঠিন হোক, তার চেয়ে কঠিন যাপন। যাপনের অন্যতম শর্ত-
ক. বিজয় যার অনুগ্রহ-করুণা, তার কৃতজ্ঞতা আদায় করা।
খ. বিজয় অর্জনে যে সীমালঙ্ঘন বা অন্যায্য হয়, তার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
অর্থাৎ বিজয়ী যেন নিজেকেই বিজয়ের প্রধান কর্তা মনে না করেন। যেন নমনীয় থেকে বিজয় রক্ষা করার উপযুক্ত থাকতে পারেন। প্রতিটি লড়াইয়ে কিছু না কিছু সীমালংঘন বা অন্যায্য হয়, স্বাভাবিক, সেজন্য বিজয়ের পরবর্তী মুহূর্তের প্রথম পদক্ষেপ সম্মিলিতভাবে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা এবং সকল সীমালংঘন থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
এর মাধ্যমে বিজয়ীদের মধ্যে আত্মম্ভরিতা, দম্ভ ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রবণতা দমিত থাকে। বিজয় রক্ষা করার জন্য যে সতর্কতা, শক্তি ও স্থিতিশীলতা দরকার, তা রক্ষিত হয়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, এতে বিজয়ী পক্ষগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া, সাম্য ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ঐক্য বজায় থাকে। কেননা ঐক্যের জন্য নমনীয়তা অন্যতম শর্ত।
বাংলাদেশ বিজয় অর্জনের পর সম্মিলিতভাবে যাপনের অংশটুকু উদযাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ ব্যাপারে কোন পক্ষই সচেতন বা আগ্রহী ছিল বলে মনে হয় না। ফলে পূর্ণাঙ্গ বিজয় এখনো অধরা।
অর্জন বিজয়ের অর্ধেক। যাপন তাকে পূর্ণতা দেয়। আমরা এখনো যাপনের অপূর্ণতা নিয়ে বিজয়ী পক্ষগুলোকে পরস্পর প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যস্ত। এ আমাদের চূড়ান্ত অকৃতকার্যতার দৃষ্টান্ত।
তবে সময় এখনো অতিক্রান্ত নয়। আমরা বিজয়কে স্থায়িত্ব দিতে যাপনে এখনো মনোযোগী হতে পারি।
এখনো মনোযোগী হতে পারি।
এখনো মনোযোগী হতে পারি।
কেননা- ইন্নাহু কানা তাউয়াবা, নিশ্চয়ই আল্লাহ বারবার ক্ষমা করেন।
যে পক্ষ এখনো যাপনে মনোযোগী হবে, চূড়ান্ত বিজয় তাদেরই করতলগত থাকবে ইনশাআল্লাহ।