মৈত্রি নাকি মতাদর্শের আগ্রাসন? সামান্থা সাবেরিন মাহী
মৈত্রী যাত্রা আসলে কীসের সাথে মৈত্রী! পশ্চিমা নোংরা চিন্তা ভাবনার সাথে? নাাকি বাংলাদেশের রক্ষনশীল ,ধর্মভীরু দৃষ্টিভঙ্গি বিরোধী যে কোনো মতবাদের সাথে মৈত্রী?
তাদের মতাদর্শ কী , সেটা এখন মোটামুটি বুঝেই গেছে বাংলাদেশের মানুষ। তারা পশ্চিমা বিশ্বের সকল আবর্জনা যেমন – সম কামিতা, গর্ভপাত ইত্যাদি সকল বিষয়ের আইনগত বাস্তবায়ন চাচ্ছেন। এটা আর কিছুই না বরং Typical নারীবাদীরা এতকাল যে চিৎকার চেঁচামেচি করে হাসিলের চেষ্টা করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তারই দেশীয় রূপ। নারীবাদীরা কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে সফল, আবার কিছু ক্ষেত্রে এখনো চেঁচিয়ে যাচ্ছে।
নারীবাদী দের একটা সমস্যা আছে। তারা “নারী” শব্দ টা ব্যবহার করেন ঠিকই কিন্তু “নারী” শব্দের সংজ্ঞা জানেন না। যে কারণে যেকেউ নিজেকে “নারী” বললেই তারা মেনে নেন। নিজেদের বুদ্ধি, বিচার সব জলাঞ্জলী দিয়ে।
তারা যেমন নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশাকে, প্রেম ভালবাসার নাম দিয়ে স্বর্গীয় বলার চেষ্টায় থাকেন, ঠিক তেমনি, নর- নর অথবা নারী- নারী ব্যাপারেও অনুরূপ প্রেমের সম্পর্ককেও সমর্থন দেন!
আবার ঠিক এই “নারী” শব্দটা ব্যবহার করেই নারীদের যে দায়িত্ব আছে সেগুলো কে হেয় করেন। যেমন – কোন একজন নারী যদি শিক্ষিত হবার পর সংসার করতে চায়, তাহলে তাকে dominated by husband ধরে নেয় by default. কেউ যদি দুইয়ের অধিক সন্তান জন্ম দেয়, তাকেও শুনতে হয় নানা কথা। নারী হয়েও ঠিক নারী হওয়াই একটা সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করার বৃথা চেষ্টা তারা করেই আসছেন! আবার নারী হয়েও “পুরুষের” মত হতে চাওয়া কে achievement ধরে নিচ্ছেন। এমন একটা ভাব যে নারীসুলভ আচরণ যেন নারীদের পশ্চাদপদ করে রাখছে! নারী যতই তার স্বকীয়তা হারাবে ততই তাদের কাছে “ সফল নারী” হিসেবে মর্যাদা পাবে!
সম্প্রতি তাদের পেজে দেখা গেলো বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোতে মেয়েদের একটা সময় পর গেটে তালা কেন দিয়ে রাখা হয়? কেন উন্মুক্ত থাকে না গেট! এই নিয়ে আপত্তি তুলতে। যেসকল অভিভাবকবৃন্দ নিজেদের সন্তানদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পাঠান এবং হলে সন্তান থাকে , তাদের এই তথাকথিত “ শিক্ষিত” মানুষের পোস্টের বিরূদ্ধে কথা বলা উচিত। মেয়েদের যে একটা সম্মান আছে, তাদের নিরাপত্তার বিষয়টা যে একটা কনসার্ন, এই নারীবাদীরা সেটাই বুঝে না! আবার তারাই আসে নারীদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে!
ধর্মের কথা বললে, শরীয়া আইন চালু প্রসঙ্গে বললে, এরা বলেন , বাংলাদেশ তো মুসলিম রাষ্ট্র না! হ্যা , দুঃখজনক হলেও সত্যি বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ ইসলাম কে ভালবাসলেও এই দেশটাতে শরীয়া আইন চালু করা যায় নাই, নীতিনির্ধারক দের জন্য অথবা রাজনৈতিক কারণে। কিন্তু তাদের কান খুলে শোনার আহবান জানিয়ে বলতে চাই, এই দেশ ধর্মহীনদেরও না । সংখ্যায় গুনলে যাদের পার্সেন্টেজ খুঁজে পাওয়া মুশকিল তাদের গলা ছোট হওয়া উচিত।