Dhaka ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
নির্বাচন ঘিরে ঐক্যের বার্তা: ইসলামী দলগুলোর জোটবদ্ধ আগ্রহ চরমোনাইয়ের মহাসমাবেশে বিএনপি কে ক্ষমতায় যাওয়ার গ্যারান্টি কে দিল? শায়েখে চরমোনাই নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনীতিবিদ, লেখক ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট সাইমুম সাদী বলেছেন, “দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য সামনে রেখে যদি ঐক্য গড়ে ওঠে, তবে সেটি হবে টেকসই ও ফলপ্রসূ। শুধু নির্বাচন নয়, বরং জাতীয় পর্যায়ে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সামনে রেখে একটি কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী ঐক্যের প্রয়োজন রয়েছে।” তিনি মনে করেন, যেহেতু নির্বাচন এখন ঘনিয়ে এসেছে, তাই নির্বাচনকেন্দ্রিক ঐক্যকেও যথাযথ পরিকল্পনা ও কৌশলের মাধ্যমে অনেক দূর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, “ঐক্যের পথে প্রধান বাধা হচ্ছে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের অভাব। অনেক সময় দেখা যায়, ঐক্যের সময় মুখে ভালো কথা বলা হলেও সুযোগ পেলে কেউ কাউকে বাদ দিয়ে এগিয়ে যেতে চায় কিংবা বিক্রি করে দেয়। এই সন্দেহ ও সংশয় দূর করতে না পারলে শুধু কথার ঐক্য দীর্ঘস্থায়ী হয় না।” সাইমুম সাদী পরামর্শ দিয়ে বলেন, “ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলেও একে অপরের প্রতি আচরণে ভদ্রতা ও সৌজন্য থাকা উচিত। তা দলের প্রধান থেকে শুরু করে কর্মী পর্যন্ত সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কর্মীদের ঐক্যের মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “এই বিষয়ে একটি গবেষণা সেল গঠন করা যেতে পারে। যেখানে নিয়মিতভাবে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের পরামর্শ ও প্রস্তাবনা দেওয়া হবে। পরে বিভিন্ন দলের দায়িত্বশীলরা একত্রে বসে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবেন।” শেষে তিনি বলেন, “ঐক্যবদ্ধতা কোনো সাময়িক ব্যাপার নয়, এটি ধারাবাহিকভাবে কাজের বিষয়। নতুন নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। চালাকি করে তাৎক্ষণিক লাভ হলেও দীর্ঘমেয়াদে জনআস্থা হারাতে হয়। তাই সাময়িক ঐক্যকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার প্রয়াস হোক আন্তরিকতা ও দূরদর্শিতার সঙ্গে। আল্লাহ আমাদের কামিয়াব করুন।” সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানালেন প্রধান উপদেষ্টা নোয়াখালীতে হিযবুত তওহীদ এর কার্যক্রম বন্ধ ও “দেশের পত্র” পত্রিকা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় “ঝাকুনিপাড়া বয়েজ ক্লাব”-এর আত্মপ্রকাশ কুরবানির যাবতীয় মাসায়েল এক রাতের বিজয়: মেহমেদ আল ফাতিহ বনাম আমাদের তরুণ প্রজন্ম” শিশুর সামনে আপনার প্রতিটি কথা—একটি শিক্ষা পড়াশুনাই হলো জীবনের অধিকাংশ ঝড়ের ঔষধ

মৈত্রি নাকি মতাদর্শের আগ্রাসন? সামান্থা সাবেরিন মাহী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:০০:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • ২৯ Time View

মৈত্রি নাকি মতাদর্শের আগ্রাসন? সামান্থা সাবেরিন মাহী

 

মৈত্রী যাত্রা আসলে কীসের সাথে মৈত্রী! পশ্চিমা নোংরা চিন্তা ভাবনার সাথে? নাাকি বাংলাদেশের রক্ষনশীল ,ধর্মভীরু দৃষ্টিভঙ্গি বিরোধী যে কোনো মতবাদের সাথে মৈত্রী?

তাদের মতাদর্শ কী , সেটা এখন মোটামুটি বুঝেই গেছে বাংলাদেশের মানুষ। তারা পশ্চিমা বিশ্বের সকল আবর্জনা যেমন – সম কামিতা, গর্ভপাত ইত্যাদি সকল বিষয়ের আইনগত বাস্তবায়ন চাচ্ছেন। এটা আর কিছুই না বরং Typical নারীবাদীরা এতকাল যে চিৎকার চেঁচামেচি করে হাসিলের চেষ্টা করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তারই দেশীয় রূপ। নারীবাদীরা কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে সফল, আবার কিছু ক্ষেত্রে এখনো চেঁচিয়ে যাচ্ছে।

নারীবাদী দের একটা সমস্যা আছে। তারা “নারী” শব্দ টা ব্যবহার করেন ঠিকই কিন্তু “নারী” শব্দের সংজ্ঞা জানেন না। যে কারণে যেকেউ নিজেকে “নারী” বললেই তারা মেনে নেন। নিজেদের বুদ্ধি, বিচার সব জলাঞ্জলী দিয়ে।

তারা যেমন নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশাকে, প্রেম ভালবাসার নাম দিয়ে স্বর্গীয় বলার চেষ্টায় থাকেন, ঠিক তেমনি, নর- নর অথবা নারী- নারী ব্যাপারেও অনুরূপ প্রেমের সম্পর্ককেও সমর্থন দেন!

আবার ঠিক এই “নারী” শব্দটা ব্যবহার করেই নারীদের যে দায়িত্ব আছে সেগুলো কে হেয় করেন। যেমন – কোন একজন নারী যদি শিক্ষিত হবার পর সংসার করতে চায়, তাহলে তাকে dominated by husband ধরে নেয় by default. কেউ যদি দুইয়ের অধিক সন্তান জন্ম দেয়, তাকেও শুনতে হয় নানা কথা। নারী হয়েও ঠিক নারী হওয়াই একটা সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করার বৃথা চেষ্টা তারা করেই আসছেন! আবার নারী হয়েও “পুরুষের” মত হতে চাওয়া কে achievement ধরে নিচ্ছেন। এমন একটা ভাব যে নারীসুলভ আচরণ যেন নারীদের পশ্চাদপদ করে রাখছে! নারী যতই তার স্বকীয়তা হারাবে ততই তাদের কাছে “ সফল নারী” হিসেবে মর্যাদা পাবে!

সম্প্রতি তাদের পেজে দেখা গেলো বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোতে মেয়েদের একটা সময় পর গেটে তালা কেন দিয়ে রাখা হয়? কেন উন্মুক্ত থাকে না গেট! এই নিয়ে আপত্তি তুলতে। যেসকল অভিভাবকবৃন্দ নিজেদের সন্তানদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পাঠান এবং হলে সন্তান থাকে , তাদের এই তথাকথিত “ শিক্ষিত” মানুষের পোস্টের বিরূদ্ধে কথা বলা উচিত। মেয়েদের যে একটা সম্মান আছে, তাদের নিরাপত্তার বিষয়টা যে একটা কনসার্ন, এই নারীবাদীরা সেটাই বুঝে না! আবার তারাই আসে নারীদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে!

ধর্মের কথা বললে, শরীয়া আইন চালু প্রসঙ্গে বললে, এরা বলেন , বাংলাদেশ তো মুসলিম রাষ্ট্র না! হ্যা , দুঃখজনক হলেও সত্যি বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ ইসলাম কে ভালবাসলেও এই দেশটাতে শরীয়া আইন চালু করা যায় নাই, নীতিনির্ধারক দের জন্য অথবা রাজনৈতিক কারণে। কিন্তু তাদের কান খুলে শোনার আহবান জানিয়ে বলতে চাই, এই দেশ ধর্মহীনদেরও না । সংখ্যায় গুনলে যাদের পার্সেন্টেজ খুঁজে পাওয়া মুশকিল তাদের গলা ছোট হওয়া উচিত।

See less
About Author Information

নির্বাচন ঘিরে ঐক্যের বার্তা: ইসলামী দলগুলোর জোটবদ্ধ আগ্রহ চরমোনাইয়ের মহাসমাবেশে

মৈত্রি নাকি মতাদর্শের আগ্রাসন? সামান্থা সাবেরিন মাহী

Update Time : ০৩:০০:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

মৈত্রি নাকি মতাদর্শের আগ্রাসন? সামান্থা সাবেরিন মাহী

 

মৈত্রী যাত্রা আসলে কীসের সাথে মৈত্রী! পশ্চিমা নোংরা চিন্তা ভাবনার সাথে? নাাকি বাংলাদেশের রক্ষনশীল ,ধর্মভীরু দৃষ্টিভঙ্গি বিরোধী যে কোনো মতবাদের সাথে মৈত্রী?

তাদের মতাদর্শ কী , সেটা এখন মোটামুটি বুঝেই গেছে বাংলাদেশের মানুষ। তারা পশ্চিমা বিশ্বের সকল আবর্জনা যেমন – সম কামিতা, গর্ভপাত ইত্যাদি সকল বিষয়ের আইনগত বাস্তবায়ন চাচ্ছেন। এটা আর কিছুই না বরং Typical নারীবাদীরা এতকাল যে চিৎকার চেঁচামেচি করে হাসিলের চেষ্টা করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তারই দেশীয় রূপ। নারীবাদীরা কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে সফল, আবার কিছু ক্ষেত্রে এখনো চেঁচিয়ে যাচ্ছে।

নারীবাদী দের একটা সমস্যা আছে। তারা “নারী” শব্দ টা ব্যবহার করেন ঠিকই কিন্তু “নারী” শব্দের সংজ্ঞা জানেন না। যে কারণে যেকেউ নিজেকে “নারী” বললেই তারা মেনে নেন। নিজেদের বুদ্ধি, বিচার সব জলাঞ্জলী দিয়ে।

তারা যেমন নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশাকে, প্রেম ভালবাসার নাম দিয়ে স্বর্গীয় বলার চেষ্টায় থাকেন, ঠিক তেমনি, নর- নর অথবা নারী- নারী ব্যাপারেও অনুরূপ প্রেমের সম্পর্ককেও সমর্থন দেন!

আবার ঠিক এই “নারী” শব্দটা ব্যবহার করেই নারীদের যে দায়িত্ব আছে সেগুলো কে হেয় করেন। যেমন – কোন একজন নারী যদি শিক্ষিত হবার পর সংসার করতে চায়, তাহলে তাকে dominated by husband ধরে নেয় by default. কেউ যদি দুইয়ের অধিক সন্তান জন্ম দেয়, তাকেও শুনতে হয় নানা কথা। নারী হয়েও ঠিক নারী হওয়াই একটা সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করার বৃথা চেষ্টা তারা করেই আসছেন! আবার নারী হয়েও “পুরুষের” মত হতে চাওয়া কে achievement ধরে নিচ্ছেন। এমন একটা ভাব যে নারীসুলভ আচরণ যেন নারীদের পশ্চাদপদ করে রাখছে! নারী যতই তার স্বকীয়তা হারাবে ততই তাদের কাছে “ সফল নারী” হিসেবে মর্যাদা পাবে!

সম্প্রতি তাদের পেজে দেখা গেলো বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোতে মেয়েদের একটা সময় পর গেটে তালা কেন দিয়ে রাখা হয়? কেন উন্মুক্ত থাকে না গেট! এই নিয়ে আপত্তি তুলতে। যেসকল অভিভাবকবৃন্দ নিজেদের সন্তানদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পাঠান এবং হলে সন্তান থাকে , তাদের এই তথাকথিত “ শিক্ষিত” মানুষের পোস্টের বিরূদ্ধে কথা বলা উচিত। মেয়েদের যে একটা সম্মান আছে, তাদের নিরাপত্তার বিষয়টা যে একটা কনসার্ন, এই নারীবাদীরা সেটাই বুঝে না! আবার তারাই আসে নারীদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে!

ধর্মের কথা বললে, শরীয়া আইন চালু প্রসঙ্গে বললে, এরা বলেন , বাংলাদেশ তো মুসলিম রাষ্ট্র না! হ্যা , দুঃখজনক হলেও সত্যি বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ ইসলাম কে ভালবাসলেও এই দেশটাতে শরীয়া আইন চালু করা যায় নাই, নীতিনির্ধারক দের জন্য অথবা রাজনৈতিক কারণে। কিন্তু তাদের কান খুলে শোনার আহবান জানিয়ে বলতে চাই, এই দেশ ধর্মহীনদেরও না । সংখ্যায় গুনলে যাদের পার্সেন্টেজ খুঁজে পাওয়া মুশকিল তাদের গলা ছোট হওয়া উচিত।

See less