মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগমনের পর থেকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২৭টি দেশ নিয়ে গঠিত সংগঠনটিতে অভ্যন্তরীণ মতানৈক্য, অভিবাসন নীতি ও অর্থনৈতিক দুরবস্থার ফলে বেশ অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায়, তুরস্কের পূর্ণ সদস্যপদই পারে এই অচল অবস্থা থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে রক্ষা করতে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান।
গতকাল রবিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত এক কেবিনেট বৈঠকে এই মন্তব্য করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, “শুধুমাত্র তুরস্কই পারে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অচলাবস্থা থেকে উদ্ধার করতে। সংগঠনটিতে তুরস্কের পূর্ণ সদস্যপদই তাকে রক্ষা করতে পারে।”
প্রসঙ্গত, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাঁকান ফিদানের ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্কিত একটি বক্তব্যের পরপরই এমন মন্তব্য এসেছে এরদোগানের কাছ থেকে। ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফিদান বলেছেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন সবসময় আমাদের প্রথম পছন্দের। তবে আমরা যদি এই সংগঠনের সদস্যপদ না পাই, তাহলে আমাদের হাতে আরও বেশ কিছু বিকল্প রয়েছে।”
বৈঠকে এরদোগান আরো বলেন, “পশ্চিমে অভিবাসন ও ইসলামবিরোধী উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের ক্রমাগত উত্থানের বিষয়টি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সাম্প্রতিক বেশ কিছু নির্বাচনের ফলাফল, আমাদের উদ্বেগকে সঠিক প্রমাণিত করেছে।”
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে জার্মানিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে এএফডি পার্টি। উগ্রবাদী এই দলটি ব্যাপকভাবে অভিবাসন ও মুসলিম বিরোধী। যা দেশটিতে বসবাসরত মুসলিম ও তুর্কি সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য ভীতির সঞ্চার করেছে।
উল্লেখ্য, গত দুই দশক ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদের জন্য আবেদন করে আসছে তুরস্ক। তবে বিভিন্ন অযুহাতে আঙ্কারাকে সংগঠনটিতে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এমতাবস্থায় বিকল্প হিসেবে উদীয়মান অর্থনীতির জোট ব্রিকসের দিকে অগ্রসর হচ্ছে তুরস্ক।
সূত্র: ডেইলি সাবাহ