Dhaka ১২:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
নির্বাচন ঘিরে ঐক্যের বার্তা: ইসলামী দলগুলোর জোটবদ্ধ আগ্রহ চরমোনাইয়ের মহাসমাবেশে বিএনপি কে ক্ষমতায় যাওয়ার গ্যারান্টি কে দিল? শায়েখে চরমোনাই নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনীতিবিদ, লেখক ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট সাইমুম সাদী বলেছেন, “দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য সামনে রেখে যদি ঐক্য গড়ে ওঠে, তবে সেটি হবে টেকসই ও ফলপ্রসূ। শুধু নির্বাচন নয়, বরং জাতীয় পর্যায়ে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সামনে রেখে একটি কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী ঐক্যের প্রয়োজন রয়েছে।” তিনি মনে করেন, যেহেতু নির্বাচন এখন ঘনিয়ে এসেছে, তাই নির্বাচনকেন্দ্রিক ঐক্যকেও যথাযথ পরিকল্পনা ও কৌশলের মাধ্যমে অনেক দূর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, “ঐক্যের পথে প্রধান বাধা হচ্ছে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের অভাব। অনেক সময় দেখা যায়, ঐক্যের সময় মুখে ভালো কথা বলা হলেও সুযোগ পেলে কেউ কাউকে বাদ দিয়ে এগিয়ে যেতে চায় কিংবা বিক্রি করে দেয়। এই সন্দেহ ও সংশয় দূর করতে না পারলে শুধু কথার ঐক্য দীর্ঘস্থায়ী হয় না।” সাইমুম সাদী পরামর্শ দিয়ে বলেন, “ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলেও একে অপরের প্রতি আচরণে ভদ্রতা ও সৌজন্য থাকা উচিত। তা দলের প্রধান থেকে শুরু করে কর্মী পর্যন্ত সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কর্মীদের ঐক্যের মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “এই বিষয়ে একটি গবেষণা সেল গঠন করা যেতে পারে। যেখানে নিয়মিতভাবে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের পরামর্শ ও প্রস্তাবনা দেওয়া হবে। পরে বিভিন্ন দলের দায়িত্বশীলরা একত্রে বসে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবেন।” শেষে তিনি বলেন, “ঐক্যবদ্ধতা কোনো সাময়িক ব্যাপার নয়, এটি ধারাবাহিকভাবে কাজের বিষয়। নতুন নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। চালাকি করে তাৎক্ষণিক লাভ হলেও দীর্ঘমেয়াদে জনআস্থা হারাতে হয়। তাই সাময়িক ঐক্যকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার প্রয়াস হোক আন্তরিকতা ও দূরদর্শিতার সঙ্গে। আল্লাহ আমাদের কামিয়াব করুন।” সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানালেন প্রধান উপদেষ্টা নোয়াখালীতে হিযবুত তওহীদ এর কার্যক্রম বন্ধ ও “দেশের পত্র” পত্রিকা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় “ঝাকুনিপাড়া বয়েজ ক্লাব”-এর আত্মপ্রকাশ কুরবানির যাবতীয় মাসায়েল এক রাতের বিজয়: মেহমেদ আল ফাতিহ বনাম আমাদের তরুণ প্রজন্ম” শিশুর সামনে আপনার প্রতিটি কথা—একটি শিক্ষা পড়াশুনাই হলো জীবনের অধিকাংশ ঝড়ের ঔষধ

ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোগান-এর বক্তব্য

  • ইবনে সাবিল
  • Update Time : ০৩:৫৯:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৩৮ Time View

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগমনের পর থেকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২৭টি দেশ নিয়ে গঠিত সংগঠনটিতে অভ্যন্তরীণ মতানৈক্য, অভিবাসন নীতি ও অর্থনৈতিক দুরবস্থার ফলে বেশ অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায়, তুরস্কের পূর্ণ সদস্যপদই পারে এই অচল অবস্থা থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে রক্ষা করতে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান।

গতকাল রবিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত এক কেবিনেট বৈঠকে এই মন্তব্য করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।

তিনি বলেন, “শুধুমাত্র তুরস্কই পারে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অচলাবস্থা থেকে উদ্ধার করতে। সংগঠনটিতে তুরস্কের পূর্ণ সদস্যপদই তাকে রক্ষা করতে পারে।”

প্রসঙ্গত, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাঁকান ফিদানের ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্কিত একটি বক্তব্যের পরপরই এমন মন্তব্য এসেছে এরদোগানের কাছ থেকে। ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফিদান বলেছেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন সবসময় আমাদের প্রথম পছন্দের। তবে আমরা যদি এই সংগঠনের সদস্যপদ না পাই, তাহলে আমাদের হাতে আরও বেশ কিছু বিকল্প রয়েছে।”

বৈঠকে এরদোগান আরো বলেন, “পশ্চিমে অভিবাসন ও ইসলামবিরোধী উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের ক্রমাগত উত্থানের বিষয়টি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সাম্প্রতিক বেশ কিছু নির্বাচনের ফলাফল, আমাদের উদ্বেগকে সঠিক প্রমাণিত করেছে।”

প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে জার্মানিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে এএফডি পার্টি। উগ্রবাদী এই দলটি ব্যাপকভাবে অভিবাসন ও মুসলিম বিরোধী। যা দেশটিতে বসবাসরত মুসলিম ও তুর্কি সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য ভীতির সঞ্চার করেছে।

উল্লেখ্য, গত দুই দশক ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদের জন্য আবেদন করে আসছে তুরস্ক। তবে বিভিন্ন অযুহাতে আঙ্কারাকে সংগঠনটিতে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এমতাবস্থায় বিকল্প হিসেবে উদীয়মান অর্থনীতির জোট ব্রিকসের দিকে অগ্রসর হচ্ছে তুরস্ক।

সূত্র: ডেইলি সাবাহ

Tag :
About Author Information

নির্বাচন ঘিরে ঐক্যের বার্তা: ইসলামী দলগুলোর জোটবদ্ধ আগ্রহ চরমোনাইয়ের মহাসমাবেশে

ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোগান-এর বক্তব্য

Update Time : ০৩:৫৯:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগমনের পর থেকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২৭টি দেশ নিয়ে গঠিত সংগঠনটিতে অভ্যন্তরীণ মতানৈক্য, অভিবাসন নীতি ও অর্থনৈতিক দুরবস্থার ফলে বেশ অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায়, তুরস্কের পূর্ণ সদস্যপদই পারে এই অচল অবস্থা থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে রক্ষা করতে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান।

গতকাল রবিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত এক কেবিনেট বৈঠকে এই মন্তব্য করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।

তিনি বলেন, “শুধুমাত্র তুরস্কই পারে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অচলাবস্থা থেকে উদ্ধার করতে। সংগঠনটিতে তুরস্কের পূর্ণ সদস্যপদই তাকে রক্ষা করতে পারে।”

প্রসঙ্গত, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাঁকান ফিদানের ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্কিত একটি বক্তব্যের পরপরই এমন মন্তব্য এসেছে এরদোগানের কাছ থেকে। ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফিদান বলেছেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন সবসময় আমাদের প্রথম পছন্দের। তবে আমরা যদি এই সংগঠনের সদস্যপদ না পাই, তাহলে আমাদের হাতে আরও বেশ কিছু বিকল্প রয়েছে।”

বৈঠকে এরদোগান আরো বলেন, “পশ্চিমে অভিবাসন ও ইসলামবিরোধী উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের ক্রমাগত উত্থানের বিষয়টি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সাম্প্রতিক বেশ কিছু নির্বাচনের ফলাফল, আমাদের উদ্বেগকে সঠিক প্রমাণিত করেছে।”

প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে জার্মানিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে এএফডি পার্টি। উগ্রবাদী এই দলটি ব্যাপকভাবে অভিবাসন ও মুসলিম বিরোধী। যা দেশটিতে বসবাসরত মুসলিম ও তুর্কি সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য ভীতির সঞ্চার করেছে।

উল্লেখ্য, গত দুই দশক ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদের জন্য আবেদন করে আসছে তুরস্ক। তবে বিভিন্ন অযুহাতে আঙ্কারাকে সংগঠনটিতে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এমতাবস্থায় বিকল্প হিসেবে উদীয়মান অর্থনীতির জোট ব্রিকসের দিকে অগ্রসর হচ্ছে তুরস্ক।

সূত্র: ডেইলি সাবাহ