ট্রাম্পের সৌদি সফর ও আমার বিশ্লেষণ- মোজাম্মেল হোসেন ত্বোহা
ঐতিহাসিক ঘটনাই বলতে হবে এটাকে। সৌদি সফরের সময় এক ঘোষণায় সিরিয়ার উপর থেকে সব অবরোধ তুলে নিয়ে সিরিয়াকে ফ্রেশ স্টার্টের সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলো ট্রাম্প।
পেছনে অনেক রাজনীতি আছে, এরদোয়ানের অনুরোধ আছে, জোলানির বিতর্কিত প্রচুর প্রতিশ্রুতির গুজব আছে – গোলানে ডিমিলিটারাইজড জোনের প্রতিশ্রুতি, সিরিয়ার তেল-গ্যাসে আমেরিকার অগ্রাধিকারের প্রতিশ্রুতি, দামেস্কে ট্রাম্প টাওয়ার নির্মাণের প্রতিশ্রুতি, আব্রাহাম অ্যাকর্ড নিয়ে আলোচনা শুরুর প্রতিশ্রুতি, ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু আমেরিকাকে কনভিন্স করার মূল কাজটা সম্ভবত বিন সালমানই করেছে। অস্ত্র ডিলের বিনিময়ে তো বটেই, আরও কিছুর বিনিময়ে কি না, এখনও পরিষ্কার না। তার ক্রেডিট নেওয়ার স্টাইল এবং এরপর ধন্যবাদ প্রকাশের জন্য স্ট্যান্ডিং ওভেশন – দুটোই দেখার মতো দৃশ্য।
এই অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের পুরো ভাষণটাই ঐতিহাসিক। ওবামার কায়রো ভাষণের চেয়েও প্রমিসিং। বাস্তবে অবশ্য আমেরিকানদের পল্টি মারতেও টাইম লাগে না।
এই ঘোষণার পর গতকাল দামেস্কে উমাইয়া মসজিদের সামনে সৌদি আরবের পতাকা নিয়ে আনন্দ মিছিল হয়েছে, আতশবাজি ফুটিয়ে উৎসব হয়েছে। আজ জোলানির সৌদি আরবে গিয়ে ট্রাম্পের সাথে সরাসরি সাক্ষাতের সম্ভাবনাও আছে।